[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কর্মরত ১০ জন চিকিৎসককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করায়। একইসঙ্গে একজন স্টোর কিপারকেও চাকুরিচ্যুত করার কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতির আদেশে স্বাক্ষর করেন।
বারবার কাজে যোগ দিতে বলার পরেও ১০ চিকিৎসক এবং স্টোরকিপার নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে চালু করা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারে কাজে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার আমরা খুলেছি। সেখানে আমাদের ওয়ার্ড হেলথ সেন্টারে কর্মরতদের মধ্য থেকে বেছে বেছে ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, হেলথ টেকনোলজিস্ট এবং স্বাস্থ্যকর্মী পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। মেয়র মহোদয় তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যেহেতু সবাই অস্থায়ীভাবে কর্মরত তাই তাদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সরকারিভাবে নির্ধারিত প্রণোদনা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এছাড়াও সুরক্ষা নিয়ে তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপরও তারা আইসোলেশন সেন্টারে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যাহতি পাওয়া চিকিৎসকেরা হলেন- সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ফরিদুল আলম, আবদুল মজিদ সিকদার, সেলিনা আক্তার, বিজয় তালুকদার, মোহন দাশ, ইফতেখারুল ইসলাম, সন্দ্বীপন রুদ্র, হিমেল আচার্য্য ও প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া স্টোর কিপার মহসিন কবিরকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সীকম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে সিটি করপোরেশনের কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হয়।