[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাস একটি ছোঁয়াছে রোগ। তাই কোন ধরনের আলামত পরিলক্ষিত হলে তা গোপন না করে চিকিৎসককে খোলামেলা ভাবে জানিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে চিকিৎসক নিজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। মনে রাখতে হবে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হবে। তাই কারো এই ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিলে লুকোচুরির কিছু করবেন না।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস জণিত সংক্রমণ এড়াতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন, কারণ এই রোগের প্রতিকার পেতে হলে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু দু:খের বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমরা কেউ কেউ এই ছুটিকে উপভোগ্য করে তুলেছি,যা কাম্য নয়। এই ছুটি উপভোগের জন্য নয়, ঘরে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে রাখাই এই রোগের প্রধান প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা। বস্তুতপক্ষে আমরা সবাই এখন এই মহামারি জয়ের যুদ্ধে সামিল, আমরা যুদ্ধ করছি করোনাকে সামনে রেখেই। তাই প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনসমাগম এড়িয়ে, বার বার হাত ধুয়ে সচেতন থাকা ও অন্যজনকে সচেতন করা। এতেই আমাদের মুক্তি।
মেয়র বলেন, আমাদের এই দুু:সময়ে জীবন ও জীবিকা দুটোকেই প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ কোন ভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। তাদের জন্য সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেষ্টিং হাসপাতাল পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। এই সময় মেয়র চমেক এর ল্যাব পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অত্র অঞ্চলে দ্রুত করোনা রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি নগরবাসীকে ধৈর্য সহকারে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের সহযোগিতার আহবান জানান চমেক এর এই ল্যাব বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শামীম হাসান জানান এটি এখন চট্টগ্রামবাসীর সেবা দিতে পুরোদমে প্রস্তুত। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জনগণের জন্য উম্মুক্ত করা হবে। ফলে দৈনিক ৯০ জন লোক এখানে করোনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হবেন।
পরিদর্শনকলে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, ডা. রিদোয়ান, ডা. পিযুষ দত্ত, ডা. এহসানুল হক কাজল, ডা. অমিত ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।