[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (SEIP) প্রকল্পের সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১৪ জুন (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মহীন যুবক, নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে একটি অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এসইআইপি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
SEIP প্রকল্পের দক্ষতা প্রশিক্ষণের বিষয়, প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রসমূহ, প্রশিক্ষণের সুবিধাদি, প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের চাকুরিপ্রাপ্তিতে সহযোগিতাসহ প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়গুলো সম্পর্কে সমাজের উদ্দীষ্ট জনগোষ্ঠীকে অবহিত করতে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন SEIP প্রকল্পের উপ-নির্বাহী প্রকল্পপরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূইয়া। কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এসইআইপি প্রকল্পের জেন্ডার এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মাহবুবা ফারজানা (যুগ্ম সচিব)।
কর্মশালায় SEIP প্রকল্পের সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের উদ্দেশ্য, প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তা, প্রশিক্ষণ সুবিধাসমূহ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রশিক্ষণ সুবিধা পৌঁছে দিতে করণীয়, প্রশিক্ষণার্থীদের সুবিধাদি ইত্যাদি বিষয়সহ সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের সার্বিক দিক নিয়ে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ভিজুয়াল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মারুফ কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে SEIP প্রকল্পের উপ-নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূইয়া বলেন, ক্ষুদ্্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী, কর্মহীন যুবকসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে দক্ষ কর্মীতে রূপান্তরিত করতে না পারলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অব্যাহত অগ্রগতির ধারা আরো তরান্বিত করা সম্ভব হবে না। এজন্য সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরি করতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সুবিধাসমূহ দেশের সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে না পারলে কাক্সিক্ষত জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব হবে না। ফলে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তাই দক্ষতা প্রশিক্ষণের বার্তা উদ্দীষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। দেশের নারীসহ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মসংস্থানে নিয়োজিত করে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে সকলকে কাজ করতে হবে। দেশের যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে তাদের অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যের জন্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি অংশ নেন।