[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায়, চট্টগ্রাম কে যে দ্বিতীয় রাজধানী বা বন্দর নগরী বলা হত,সে নগরী কতটা অসহায় তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। করোনার প্রকোপে চট্টগ্রামে অসংখ্য মানুষের আত্বাহুতি, সে সাথে মানুষের বেঁচে থাকার আর্তনাদ প্রমাণ করে, মানুষ কত অসহায় আর আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা কতটা ভঙ্গুর।
চট্টগ্রামে ইদানীং অনেক বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, সেবার মান নিয়ে এখনো মানুষের মধ্যে দ্বিধা আছে কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেভাবে বন্দর নগরীতে ঔষধ কোম্পানি গড়ে উঠেনি।চট্টগ্রামের একটি বহুজাতিক কোম্পানি মাত্র কিছুদিন আগে গুটিয়ে চলে গেছে পাশাপাশি নতুন কোন কোম্পানি মার্কেটে আসেনি।
চট্টগ্রামে চারটি বেসরকারি ও একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ চালু আছে, যে সকল গ্রাজুয়েট এখান থেকে বের হয়, তারা সবাই সুযোগের অভাবে কাজ করতে চলে যান ঢাকায়। চট্টগ্রামের তাদের মূল জায়গা হলেও ঔষধ কোম্পানি না থাকায়,চট্টগ্রামে তাদের সুযোগ কম, অবদান রাখার।
গতকাল ফেইসবুক লাইভে “বর্তমান অবস্থায় ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা ও আগামীর সম্ভাবনা” এই বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এই বিষয়গুলো উঠে আসে।প্রায় দুই ঘন্টার এই ফেইসবুক লাইভে প্রাধান্য প্রায় স্বাস্থ্যসেবায় অসহায় চট্টগ্রামের অবস্থা এবং বক্তারা আশা আশাবাদ ব্যক্ত করেন করোনা পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের ব্যাবসায়ীরা এগিয়ে আসবেন নতুন কোন উদ্যগের সাথে । ।যেহেতু স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ আছে এবং সম্ভাবনা ও অফুরন্ত তাই আলোচক বৃন্দ প্রতিশ্রুতি দেন ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোগে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তায় এগিয়ে আসবেন।
আলোচনায় অংশ নেন এসি আই হেলথকেয়ার লিমিটেড এর টেকনিক্যাল অপারেশন্স ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ, নভো হেলথকেয়ার ও ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক , এম ফরিদউদ্দিন কাউসার, এলবিয়ন ল্যাবোরেটরিজ লিমিটেড’র মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার শরিফুর রহমান শামীম,উক্ত সেশনে মডারেটর হিসেবে ছিলেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিকালস লিমিটেড’র স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পোর্টফোলিও ম্যানেজার রেজা চৌধুরী এবং উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রনিক সাইন্স এন্ড টেকনোলজি অব চায়নার মাস্টার্সে অধ্যায়রত, টিম চিটাগং এর কো-ফাউন্ডার জহির রায়হান।