[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এজি লাভলু, স্টাফ রিপোর্টার: ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে অবহেলিত কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ। পৌষের শুরুতেই কুয়াশার চাদর গায়ে জড়িয়ে ক্রমাগত বাড়ছে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ।
শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। কাজে বের হতে না পারায় নিদারুন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। অনেকে দিনভর খরকুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে শীত নিবারন করতে গরম কাপড় সংগ্রহে নিম্ন আয়ের মানুষরা পুরানো কাপড়ের বাজারে ভীড় করছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ১০দশমিক সাত ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে। গত ক’দিন ধরেই এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০থেকে ১৪ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
সারাদিনেও মিলছে না সূর্যের দেখা আর উষ্ণতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাড়ছে শৈত্য প্রবাহ।
ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও মহাসড়কে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় বাড়ছে শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ। পৌষের শীত আর ঘন কুয়াশায় কাহিল হয়ে পড়েছে চর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করায় শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীদের সংখ্যা।
গত মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২১জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। এর ১৮জনই শিশু। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, শীত বাড়তে থাকায় এর প্রভাবে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। তাই শিশু ও বৃদ্ধদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আকাশ মেঘ আর কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। এ মাসেই একটি মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।