[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যে । স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রভাব ফেলে ব্যক্তিত্বের ওপরেও। তাই চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি উপযুক্ত।
মনে রাখতে হবে, একেক জনের চুলের প্রকৃতি একেক রকম। তাই চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী এর নিতে হবে যত্ন । চুলের ধরন যেমন হোক না কেন, পাঁচটি বিষয় মেনে চলতে পারলে দীর্ঘদিন সহজে ধরে রাখা সম্ভব চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য।
নিচে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো : ভিজে চুল কখনও আঁচড়ানো উচিত নয়। চুলের জট ছাড়াতে বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করাই ভালো। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। চুল আঁচড়ানোর জন্য কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। সপ্তায় অন্তত একবার চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট দিন। চুলের যত্ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কখনও রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না।
সপ্তায় অন্তত তিনবার উষ্ণ তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। চুলের গোঁড়ার আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। মালিশের জন্য আমন্ড অয়েল বা সাধারণ নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোঁড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। অন্তত এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার-দাবার খুবই জরুরি। ফলের রস আর সবুজ সবজি চুলের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্যবান, ঘন, ঝলমলে চুলের জন্য দুধ আর টক দই খেতে পারেন। চুলকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে নারকেলও খুবই উপকারী।
ভিজে চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ারের ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাছাড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে চুলের গোড়াও।
ক্লান্তি, অবসাদ চুলের রং বা এর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চাপমুক্ত থাকতে মেডিটেশন, মিউজিক থেরাপি ইত্যাদি কৌশল কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
