[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজহারুল ইসলাম জনি (গাজীপুর): চার মাসের শিশুকে অপহরণের পাঁচ দিন পর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) শিশুটিকে উদ্ধার করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মাদ্রাসার ছাত্রী এক কিশোরী ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার গোপালপুর এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার খুশি (৩৫) ও তাদের মেয়ে মোসাঃ সামিয়া (১৪)।
তারা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকার জয়নাল হাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাকসুদা আক্তার খুশির মেয়ে, সামিয়া নাওজোর এলাকার এক মাদ্রাসার ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে এবং শিশুটিকে উদ্ধার পুলিশ।
জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান জানান, গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাওজোর এলাকার জয়নাল ড্রাইভারের টিনশেড বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ দেলোয়ার হোসেনের চার মাসের শিশু সন্তান জুনায়েদকে তার কেয়ারটেকার মোছাঃ রাশিদার কাছে রেখে জান।
কেয়ারটেকার মোছাঃ রাশিদার কাছে শিশু জুনায়েদকে রেখে শিশুটির মা রেমা আক্তার গার্মেন্টসে এবং শিশুটির বাবা দোকানে চলে যান। একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন খোকনের পরিবার। ওই দিন বিকেল তিনটার দিকে স্থানীয় মোঃ মিলনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিশুর পিতা দেলেয়ার হোসেন জানতে পারেন যে, তার ছেলেকে কে বা কারা অপহরণ করেছে।
দেলোয়ার তাৎক্ষনিক তার বাসায় এসে কেয়ারটেকার মোছাঃ রাশিদার কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় দুপুরে শিশু মোঃ জুনায়েদকে ঘরে রেখে কেক আনার জন্য পার্শ্ববর্তী দোকানে যায়। ফিরে এসে সে শিশু জুনায়েদকে আর দেখতে পায়নি।
সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজাখুঁজি করার পর শিশুটিকে না পেয়ে পরদিন জুনায়েদের বাবা এ ঘটনায় বাসন থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরে ময়মনসিংহ জেলার ঈশরগঞ্জ থানাধীন দরুন বড়বাগের প্রত্যন্ত দূর্গম এলাকা থেকে অপহৃত শিশু জুনায়েদকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত ওই দুই নারী মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে।