[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজহারুল ইসলাম জনি (গাজীপুর) : গাজীপুরের সদর উপজেলার সালনা এলাকায় শ্যামলী গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে শ্যামলী গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। দুপুর আড়াইটা থেকে আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিক একযোগে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া কারখানার কর্মকর্তাদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া আছে। একাধিকবার বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
এদিন সকালে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেতন দেয়নি। এই কারখানার ফিনিশিং কন্ট্রোলার বলেন, ‘আমরা যারা স্টাফ তারা ৬ মাসের বেতন পাইনি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সকল সেক্টরের একই অবস্থা। বেতনের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ একজন নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমরা দুই মাসের বেতন পাই না। এতে চাকরিও ছাড়তে পারছি না। বেতন ছাড়া সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। বেতন দেয় না বলে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।’
কারখানার শ্রমিকরা আরো বলেন, গত সেপ্টেম্বর ও চলতি মাসের বেতন গত মঙ্গলবার দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কথা রাখেনি। আজ তা পরিশোধের কথা ছিল।
কিন্তু দুপুর পর্যন্ত বেতন না দেওয়ায় শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এবং বেতন পরিশোধ করা না হলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে জানান বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা। এই বেপারে শ্যামলী গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার ডিজিএম কাজল বরণ দেবনাথ শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে হলেও শ্রমিকদের বেতন দিবো। শনিবারের মধ্যে বেতন পরিশোদ করে দেওয়া হবে।’
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা দুপুরে পর থেকে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের আলোচনা করে যাচ্ছি। শ্রমিকরা একটু ক্ষিপ্ত, যতদ্রুত সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এ ঘটনায় শ্যামলী গার্মেন্টেসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।