[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
হাড় জমানো ঠাণ্ডার সুমেরু। তবু এ বছরের গ্রীষ্মে আর্কটিক (সুমেরু) মহাসাগরের ওপরে ভাসা বরফের সাম্রাজ্য যেভাবে আকারে-আয়তনে ছোট হয়ে গেছে, তা বিজ্ঞানীদের রীতিমত চমকে দিয়েছে। গলতে গলতে আর্কটিকের পানির ওপরে থাকা বরফের স্তর গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমে পৌঁছেছে ১৬ লাখ বর্গমাইলে, যা সুমেরু মহাসাগরের ওপরে থাকা বরফের স্তরের এক-তৃতীয়াংশ।
পুনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড ওশা?ন রিসার্চের পরিচালক এম রবিচন্দ্রন বলেন, নাসা ও ‘ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার’ (এনএসআইডিসি)-এর বিভিন্ন উপগ্রহের পাঠানো তথ্যাদি এ বরফ হারানোর কথা জানিয়েছে।
শীতেও আগের মতো জমছে না আর্কটিক মহাসাগরের ওপরে থাকা বরফের স্তর। এত দিন গরমকাল আর বসন্তে গলত মহাসাগরের ওপরে ভেসে বেড়ানো বরফের স্তর। এখন ভরা শীতেও আর্কটিক মহাসাগরের ওপরের বরফের স্তর দ্রুত পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে ওই এলাকার বাস্তুতন্ত্র। বদলে যাচ্ছে আশপাশে থাকা অন্য সাগর ও মহাসাগরগুলোর গতিবিধি। তা ছাড়া মহাসাগরের পানির স্তর অনেকটা ওপরে উঠে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তনেও বড় ভূমিকা নিচ্ছে আর্কটিক মহাসাগরের ওপরকার ক্ষীয়মাণ বরফের স্তর।
নাসা ও এনএসআইডিসির সাম্প্রতিক তথ্য জানিয়েছে, এই বছর গরমকাল শুরু হওয়ার সময়ই আর্কটিকের ওপরের বরফের স্তরের এলাকা আগের চেয়ে অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছিল। যেটুকু ছিল, জুলাইয়ে তা খুব দ্রুত হারে গলতে শুরু করেছিল। আগস্টের মাঝামাঝি পৌঁছে তার হার অবশ্য কিছুটা কমে। মহাকাশ থেকে বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে আর্কটিকের ওপরকার সেই বরফের স্তরের হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর নজর রাখা হয়েছিল। সূত্র : আনন্দবাজার।