[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটটি অ্যান্টিবডি চিনতে পারলেও সংক্রমণের প্রথম ভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে কার্যকর নয়। উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে এই কিট ব্যবহার করে শুধু ১১-৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন সংশ্লিষ্ট কমিটি তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে এ ফলাফল পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে কার্যকর নয়। তবে এ বিষয়ে আমরা শুধু গবেষণা করে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিচ্ছি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে। তারা মূল সিদ্ধান্ত দিবে।’
ব্রিফিংয়ে উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘প্রচলিত আরটি-পিসিআর পদ্ধতির সুবিধা চালু নেই অথবা যাদের কভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর টেস্টে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের এর আগে কভিড রোগ হয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। পাশাপাশি কভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টিন সমাপ্তির সময় নির্ধারণ এবং লকডাউন উত্তোলনের রূপরেখা তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়। পরে ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিট হস্তান্তর করে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম, মাইক্রোবায়োজি অ্যান্ড ইসিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ ও ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী।


























