[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
“গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে রাজনৈতিক ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে”-বললেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি।
গতকাল দুপুরে পার্টির পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা কমরেড শফিউদ্দীন আহম্মেদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা থেকে ভিডিওকলে তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান আমলে যখন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশবাসী রুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন এরাই ফতোয়া দিয়েছিল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার অর্থ হবে মসজিদ ভাঙ্গার সমান। তিনি বলেন, তাদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো পাকিস্তান গিয়ে জিন্নাহর ভাস্কর্য হারাম বলে ভাঙার ফতোয়া দিন।
স্মরণ সভায় কমরেড মেনন বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে জিন্নাহ’র ভাস্কর্য থাকতে পারলে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা হবে এটা হতে পারে না। আসলে তারা তাদের অতীতকে ভুলতে পারে নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তেমনি এদেরকেও তাদের একাত্তরের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এই সকল আলেমদের ফতোয়া দেয়ার আইনগত কোনো অধিকার নেই, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খায়রু হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আদেশ দিয়েছিলেন, একমাত্র ইসলামী ফাউন্ডেশনই ফতোয়া দেয়ার সামর্থ্য রাখে। তারা এখানেও আইন ভাঙলো, আমরা আশা করি তাদের আইন ও সংবিধান বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি কমরেড নজরুল হক নিলু। সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য জেলা নেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, জাকির হোসেন, ফাইজুল হক বারি ফারাহিন, গোলাম হোসেন, শাহিন হোসেন, এইচ এম হারুন, দিলিপ রাজা, ছাত্র মৈত্রী নেতা শামিল শাহরোখ তমাল, মিন্টু দে প্রমুখ। স্মরণসভায় কমরেড আবুল হোসেন এবং কমরেড সিরাজুল ইসলামকেও স্মরণ করা হয়।