[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া খুলনা বিভাগে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন মহামারিকালে স্থানীয় তহবিল হতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। পরিবহন শ্রমিক, ঋষি সম্প্রদায়, হিজড়া, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য অসহায় জনগোষ্ঠীর প্রায় ছয় হাজার জনের বেশি মানুষকে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল ১৫ কেজি চাল, ডাল, তেল, আলু ও পেঁয়াজ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রাপ্ত ২০ লাখ টাকার এবং ত্রাণ ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ১২ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গতকাল ১৩০ জন অসহায় নরসুন্দর ও দুঃস্থ শিল্পীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ১ প্যাকেট সেমাই প্রদান করা হয়।
মাগুরা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে সর্বমোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার আওতায় মাগুরা জেলায় এক কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের নিজস্ব বরাদ্দ হতে তিনশত পঞ্চাশ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মোট প্রাপ্ত জিআর ক্যাশ থেকে উপজেলা ও পৌরসভাভিত্তিক ৯৪ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলায় রমজান উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য মোট এক কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা জেলায় মোট ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২৫ জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন ও ১০ জন শ্রমিকের মাঝে ভ্যানগাড়ি বিতরণ করা হয়।