[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে কর্মসূচি অনুযায়ী। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশ করা হবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ ও ২৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এ দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১২ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ ও ২৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করা হবে। রংপুরের সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।
ফখরুল বলেন, গত পাঁচ মাস ধরে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউ-এর ভিসিসহ মেডিক্যাল বোর্ড বলেছে খালেদা জিয়া এখন সুস্থ। তাঁদের এ বক্তব্য খালেদা জিয়াকে পুনরায় কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ। তিনি বলেন, আমরা জানি খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে এসে বলেছেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। একা চলতে পারেন না। তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত দীর্ঘদিন যাবত। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। এবং দাবি করছি তাকে তার পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার। অন্যথায় তার শারীরিক যেকোনো অবনতির জন্য বর্তমান সরকার দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ, আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।