[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য নষ্ট ও অপচয় রোধেও সরকার কাজ করছে। ডেল্টা প্ল্যান, কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (সিআইপি-২), জাতীয় কৃষি নীতিতেও এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই সাথে, খাদ্য নষ্ট ও অপচয় কমিয়ে আনতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ও এগ্রো-প্রসেসিংয়ে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের এসব উদ্যোগের পাশাপাশি উৎপাদক, ক্রেতা-ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
মন্ত্রী গতকাল অনলাইনে ‘বাংলাদেশে খাদ্য নষ্ট ও অপচয় রোধে চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হর্টিকালচারাল সায়েন্স (বিএসএইচএস) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশ যৌথভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস’ পালন উপলক্ষে এ সেমিনারটি আয়োজন করে। ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয়’ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সবাইকে সচেতন করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২৯ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। প্রথমবারের মতো এ বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয় বন্ধ করুন। মানুষের জন্য। পৃথিবীর জন্য।’ (Stop Food Loss and Waste. For the People. For the Planet)।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হর্টিকালচারাল সায়েন্সের সভাপতি মোঃ সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিএসএইচএস’র মহাসচিব আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএও ঢাকার চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার নাওকি মিনামিগুচি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাসান।