[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। তিনি জানান, এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানি, স্থানীয় ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুদের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। তিনি এসময় জানান, কেউ খাদ্যকষ্টে থাকলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাকে তালিকাভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কাউন্সিলদের বলা হয়েছে যে যেখানে থাকুন না কেন খাদ্যকষ্টে থাকলে তাকে এনআইডির ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর ফলে বাংলাদেশে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজনের জন্য সরকার গত বছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিল। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এনামুর রহমান জানান, সরকার জিআর ক্যাশ দিয়েছে ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোট সিটি কর্পোরেশনগুলো ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছে। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এছাড়াও করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ ও মজুদ রাখা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সবসময় মজুদ রাখা হয় যা জেলা প্রশাসকগন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যয় করতে পারেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্থ এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস, চিড়াসহ বিভিন্ন পণ্য আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী কেনা হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণের জন্য খুব শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর ও কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়, এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।
Aita sudhu lok dakhanor jonne, phone dile bole ora agulo mittha