[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুসপ্তাহে ৭ শিশু মারা গেছে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অন্তত ২০ শিশু।
এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরের জনজীবন। দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না এ জেলায়। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে। এখানে প্রচণ্ড শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীতের তীব্রতা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষে ভিড় করছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। আগামী আরও কয়েকদিন এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় অবহাওয়া অফিস। এদিকে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীত বাড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে। রোববার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। কনকনে শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
অন্যদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন পঞ্চগড়বাসী। গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে কষ্টে আছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এছাড়া রংপুর, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে।