[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এখনো পুরোপুরি ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ উপকূল থেকে দূর সমুদ্রে ঘূর্ণি বাতাস প্রবল হতে শুরু করলেও। তবে ক্রমেই তীব্রতা বাড়াতে শুরু করেছে ‘আম্ফান’। সমুদ্র উত্তাল করে সেখানেই ফুঁসছে ঘুর্ণিঝড়টি।
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘুর্ণিঝড়ে রুপ নিচ্ছে প্রবল হতে থাকা ঘুর্ণিবর্তটি। তবে ঘুর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় স্পষ্ট হবে।
এদিকে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল ও গতিপথ নিয়ে। তবে সকলেই একমত প্রকাশ করেছেন এটি যে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানবে-তা নিয়ে।
আগামী মঙ্গলবার (৫ মে) এর পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ তার গতিপথ কোনদিকে পরিবর্তন করে সেদিকেই চেয়ে আছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, শুরুতে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, এ বৃষ্টি আরও দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে। একটানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকলেও এ মৌসুমে তার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সেটি দেশের উপকূলীয় পটুয়াখালি, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষীপুর ও ফেনীতে ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার হবে এবং ক্যাটাগরি-২ মাত্রার শক্তি নিয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং যতই উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে ততই শক্তি অর্জন করতে থাকবে। এটি উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করতে পারে- এমন পর্যবেক্ষণও রয়েছে।
আবার আরেকটি পর্যবেক্ষণ বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান দীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্টি হয়ে খুব দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ভারতের পূর্ব উপকূল ঘেঁষে উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হবে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করতে করতে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে যেতে পারে এবং আগামী ৬ মে এর মধ্যে স্পষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর সামান্য কিছুটা পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর দিকে বাঁক নিতে পারে এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (ক্যাটাগরি ৩ প্লাস) পরিণত হতে পারে। সর্বশেষ আগামী ১২ ও ১৩ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বরিশাল পর্যন্ত যে কোনও এলাকা অতিক্রম করতে পারে। উপকূল অতিক্রমের পূর্বে কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
থাইল্যান্ড এই ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ নামকরণটি করেছে। ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম ‘আম্ফান’ ।