[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি নিয়ে কোন ধরনের অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণিজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। তবে কোরবানি উদযাপন করতে গিয়ে যাতে আমরা বিপদ ডেকে না আনি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে তাদেরকে যাতে পথে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে এবং কাজ কোনোভাবেই স্থবির করা যাবে না। কোরবানি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে যাতে অসুস্থ বা রুগ্ন পশু বিক্রয় না হয় সে বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জনরা কাজ করবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মানবিক সহায়তা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।