[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আল-মামুন খান, নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতের আগমনী বার্তা অনুভব করছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার মানুষ।
বিকেল থেকে কুয়াশায় মুখ ঢাকছে মাঠঘাট। রাতভর টুপটাপ কুয়াশা ঝরছে। কার্তিকের মাঝামাঝি সময়েই সন্ধ্যার পর শীত পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশার দেখা মিলছে চারদিকে।
তাড়াইল উপজেলাটি হাওরাঞ্চলের পাদদেশে হওয়ায় শীতের আগমনী বার্তায় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম। প্রতিদিনই রাত ও ভোরে কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ধানের পাতা আর ঘাসের ওপর ঝরছে শিশির কণা। শিশির ভেঙে চাষি ছুটে যান সবুজ ধানের ক্ষেতে। রোদের আলোয় ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রস্তুতিও শুরু করেছে এ এলাকার মানুষ। যত্নে রাখা গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় ও ভোরে হাঁটা-হাঁটি শেষে জমছে চায়ের আড্ডা। শীতের এই সময়টি উপভোগের সুন্দর সময় বলে মনে করেন অনেকে। তবে দিনের বেলায় ঘটছে শীতের ঠিক বিপরীত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, কার্তিক মাসের শেষ সময়ে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে। আর হাওরাঞ্চলে শীতের আমেজ তো দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে প্রকট। এর মাত্রা আর অনুভূতি থাকে ভিন্নতর, এটা মোটামুটি সকলের জানা।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, রাতে ও সকালে কুয়াশা পড়ছে আর সবে মাত্র শীত শুরু, দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে শীত। শীতের সাথে তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করবে।