[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এজি লাভলু, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহের প্রভাব এখনো কাটেনি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠানামা করছে ৮ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। গতকাল বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ। টানা শৈত্য প্রবাহের পর গত দুই দিন ধরে দিনের বেলা কিছু সময়ের জন্য সুর্যের দেখা মিললেও বেলা পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে নেমে আসছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। এ অবস্থা চলছে পরের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত। এতে করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন।
কনকনে ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা শীত জনিত রোগে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা সংখ্যা
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সাইদুর রহমান জানান, সরকারীভাবে সাড়ে ৪ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠালেও মাত্র ৬ শত কম্বল পেয়েছি। যা চাহিদার তুলনায় একদম অপ্রতুল ।
এদিকে সরকারীভাবে জেলা প্রশাসন থেকে ৫১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও দেশের সবচেয়ে দারিদ্রতম এ জেলায় বিপুল সংখ্যক হতদরিদ্র মানুষের জন্য তা অপ্রতুল।
তবে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, আমরা কুড়িগ্রামের শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি এবং তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠন ও সংস্থা তাদের শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। জেলা প্রশাসন থেকে শীত মোকাবেলার সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।