[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এজি লাভলু, নিজস্ব প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে জেলা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এডিসি (সহকারী কমিশনার) রিন্টু বিকাশ চাকমা এবং এডিসি এসএম রাহাতুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে বাদী করে তার পক্ষে বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র ক্রামই রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু বিকেলের দিকে অভিযোগ দাখিল করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজার রহমান অভিযোগটি গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম. আতাউর রহমান বিপ্লব, জেলা সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, বাংলা ট্রিবিউনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন সহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় রিগ্যান নিজে থানায় আসতে পারেননি। এমনকি তার ডান হাতে ব্যথা থাকায় বাম হাত দিয়ে স্বাক্ষর করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান জানান, যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার সদস্যদের একটি দল শহরের চড়ুয়াপাড়ায় বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের বাড়িতে হানা দেয়। তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে আরিফুলকে মারধর করতে করতে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তার পোশাক খুলে দুই চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এসব ঘটনার নেতৃত্ব দেন ডিসি কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন। এরপর মাদক উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে জামিন দেওয়া হয়। এরপর ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এডিসি রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যান জানান, আমি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকায় আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহার জমা দিয়েছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করছি।