[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নিজস্ব প্রতিবেদক : কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবীতে বুধবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটি ব্যানারে বিয়ানিবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনাশালেশ্বর ও আশেপাশের কয়েক গ্রামের শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
এসময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সিলেট মহা নগরীর সহ সভাপতি ও নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটির আহবায়ক আলী আক্তার উজ্জামান বাবুল চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলাম, শেওলা ইউপির সাবে চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন খাঁন জাহেদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জমির উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ খাঁন, সিলেটের বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী ওয়াসিক উজ্জামান চৌধুরী, ইরাদ চৌধুরী, ফজলে সফি, শাহী চৌধুরী, নারীনেত্রী রেহানা পারভিন, নাছিমা জামান চৌধুরী ডলি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা বলেন, যুগ যুগ ধরে সর্বনাশা কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনের কবলে বিয়ানীবাজার উপজেলার ৪নং শেওলা ইউপির কোনাশালেশ্বর, বালিঙ্গা, দিগলবাক, ঢেউ নগর, শেওলা সহ শালেশ্বর গ্রামের শত শত একর জমি, বাড়ি ঘর, স্কুল মাদ্রাসা, পোষ্ট অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ভিটে বাড়ি, জমি সহায় সম্বল হারিয়ে পথে নেমে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নদী শাসন কল্পে নেয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কোন প্রকল্পই এ অঞ্চলের মানুষে কাজে আসেনি। তাদের দেয়া নদী রক্ষা বাধ উল্টো এখন এ অঞ্চলের মানুষের গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ব্যর্থতার কারণে যুগ যুগ ধরে কুশিয়ারার ভাঙ্গন রোধ করা যায়নি। কুশিয়ারার নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রকল্প নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা নিতে আহবান জানান।মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে পানি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রানালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ নদী রক্ষায় ১৯৯৯ সালের পানি নীতি এবং ২০১৩ সালের পানি অ্যাক্ট বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নদী সমস্যার সমাধান করা জরুরি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, তার জন্য সবার আগে যেকোনো পরিকল্পনার সাথে ভুক্তভোগিদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব আমরা দেখছি। জলবায়ুর অভিঘাত পানির উপরে পড়ে এবং পানির সাথে আমাদের কৃষি ও পরিবেশসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরে। তাই নদীর প্রবাহতা অক্ষুন্ন রেখে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।