[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের উপর অবস্থিত দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ অংশ সিএনজি মাইক্রোবাসের স্ট্যান্ড হিসেবে ইজারা দিয়েছেন দেবীদ্বার পৌরসভার দায়িত্বে থাকা পৌর প্রশাসক দেবীদ্বারের ইউএনও ডেজি চক্রবর্তী। দেবীদ্বার পৌর সভার ৫টি সিএনজি/ অটোবাইক, এ্যাম্বুলেন্স, কার, মাইক্রো স্ট্যান্ডের পাশাপাশি দেবীদ্বার সদর থেকে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ অংশও ইজারা দিয়েছেন পৌর প্রশাসক। সোমবার পৌর প্রশাসকের এক প্রজ্ঞাপনে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়।
দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপেেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্ত্তী স্বাক্ষরিত ৪৬.২০.১৯.৪০.৭০.০৭.০০৬.২৩/১০৯-১১৩ নং স্মারকে ২০/০২/২০২৩ইং তারিখের স্বাক্ষরে পৌর এলাকার সিএনজি/ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার কার-মাইক্রো এ্যাম্বুলেন্স ষ্ট্যান্ডগুলো কুমিল্লা- সিলেট হাইওয়ে সড়ক সংশ্লিষ্ট ‘দেবীদ্বার পুরাতন বাজার থেকে- ওয়াহেদপুর সিএনজি/ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার জেলা পরিষদ মার্কেটের উত্তর গলি থেকে কোম্পানীগঞ্জ রোডের সিএনজি/ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার- চান্দিনা রোডস্থ বিআরডিবি আওতাভ‚ক্ত ইউসিসিএর জায়গায় সিএনজি/ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার নিউমার্কেট রহমানিয়া সুপার মার্কেটের সামনে হতে কুষ্ণপুর রোডের সিএনজি/ ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার ফুলগাছ তলা থেকে খলিলপুর রোডের সিএনজি/ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, দেবীদ্বার কার-মাইক্রো এ্যাম্বুলেন্স সরকারী হাসপাতাল গেইট ষ্ট্যান্ড ইজারা প্রদান করেছে।
এ ৬টি সিএনজি/ ইজিবাইক ও কার, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্স ষ্ট্যান্ডগুলোর মধ্যে দেবীদ্বার- চান্দিনা সড়কের বিআরডিবি’র আওতাভুক্ত ইউসিসি এর ষ্ট্যান্ড ছাড়া বাকী সবগুলোই ‘কুমিল্লা-সিলেট হাইওয়ে সড়কের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং নিউমার্কেট থেকে সরকারী হাসপাতাল ও থানা গেইটের ৫ শত মিটারের মধ্যে ষ্ট্যান্ডগুলোর অবস্থান। এর মধ্যে দেবিদ্বারে অবস্থিত জেলা জেলা পরিষদ মার্কেটের গলি থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত পুরো রাস্তা কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত। এই স্ট্যান্ডটি ইজারা না দেওয়ার জন্য দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ এক চিঠি দিয়ে পৌরপ্রশাসককে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধ সত্ত্বেও পৌরপ্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ইউএনও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কও ইজারা দিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো আবুল কালাম আজাদ বলেন- গতবছর ২৬শে ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের এক সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে জনস্বার্থে হাইওয়ে রোডে সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তারপরও পৌরপ্রশাসক(ইউএনও) কার স্বার্থে ইজারা দিয়েছেন তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য এ স্ট্যান্ডগুলি ইজারার নিয়মবহির্ভূতভাবে একাধিক জায়গা হতে জিপি টোকেন মানির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা, হাইওয়ে সড়কে যানজটের ভোগান্তি রুখতে উপায়ান্ত না পেয়ে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন পৌর এলাকার নাগরিক সোহেল রানা নামে এক ব্যবসায়ী।
গত ৯ জানুয়ারী দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল রানা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলে উচ্চ আদালত ৬টি ষ্ট্যান্ড ইজারার সকল কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন নম্বর ৩২১/২০২৩। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে তরিকুল ইসলাম সুমন নামে এক ব্যবসায়ী গত ২৯/০১/২০২৩ইং তারিখ সুপ্রিমকোর্টে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলে সিভিল পিটিশন নং ২৫৪/২০২৩ইং এর বলে ৩১/০১/২০২৩ ইং থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।
এ ব্যাপারে পৌরপ্রশাসক ও ইউএনও ডেজী চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।