[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জম্মু-কাশ্মীরে প্রত্যাহার হতে চলেছে পর্যটকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের নির্দেশে প্রায় দু-মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অ্যাডভাইজরিকে রাজ্যপাল এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাজ্যপালের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে জম্মু-কাশ্মীর আগের মতোই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। সরকারি মুখপাত্র জানান, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক পর্যটকদের ওপর থেকে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ১০ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য দপ্তর টুইট করে জানিয়েছে, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক নিরাপত্তা নিয়ে পরামর্শদাতা এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন। রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে দেওয়া নির্দেশিকায় বলেছেন, রাজ্য থেকে পর্যটক বেরিয়ে যেতে বলার আদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে। ১০ অক্টোবর থেকে এটা কার্যকর হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেয়। পাশাপাশি রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার কথা জানায়।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে কাশ্মীরে অশান্তি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্য রাজনীতিবিদদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাজ্যকে পর্যটক শূন্য করে, সেখানে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়। এমনকি ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার আশঙ্কা থেকে গত ৩ আগস্ট পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে ব্রিটেন ও ইসরায়েল সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করে। ইসরায়েল সরকারের সন্ত্রাস দমন শাখার পক্ষ থেকে একটি লিখিত বিবৃতিতে তাদের নাগরিকদের জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়া থেকে বিরত হতে বলে। যারা ইতিমধ্যেই সেখানে রয়েছেন, তাঁদেরও অবিলম্বে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েল ছাড়াও জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারের তরফেও বিবৃতি দিয়ে নাগরিকদের জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ৩ আগস্ট শ্রীনগর থেকে ফিরে যায় প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি পর্যটক। নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয় অমরনাথ যাত্রাও। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সেই থেকে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবত্ ছিল।