[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজহারুল ইসলাম জনি (গাজীপুর): গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও সারোয়ার হোসেন।
হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন, কাপাসিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল আলীম, যুবদলের কর্মী জজ মিয়া, আল আমিন, ছাত্রদলের কর্মী বেলায়েত হোসেন ও ফারুক হোসেন।
হাইকোর্টে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন, কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হালিম ফকির, যুবদলের কর্মী মাহবুবুর রহমান ও আতাউর রহমান, ছাত্রদলের কর্মী ফরহাদ হোসেন ও কাপাসিয়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জুয়েল এবং হাইকোর্টে খালাস দেওয়া হয় জয়নালকে।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ১১ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়া।
২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট কাপাসিয়া উপজেলার বলখেলা বাজার সংলগ্ন মাঠে যুবলীগ নেতা জালালসহ তার বন্ধুরা গল্প করছিলেন। এ সময় আসামিরা প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর রায় দেন আদালত। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।