[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ ২৭ আগষ্ট দ্রোহের কবি নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি ৭৭ বছর বয়সে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে এনেছিলেন নতুন ধারা। তিনি অভিষিক্ত হয়েছেন মহাপুরুষের আসনে ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে। তাঁর আজীবন সংগ্রাম ছিল শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য। সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার আর কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে।
বিদ্রোহী কবি,মানবতার কবি, সুফী কবি, মুসলিম কবি,মানুষের কবি,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ধার্মিকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা।
ধার্মিকতাঃ- “ প্রাণের লওহে কোরান লেখা / রূহ পড়ে তা রাত্রি দিন” … “ বক্ষে আমার কাবার ছবি, চক্ষে মোহাম্মদ রসুল” …..” কোরান আমার বর্ম , ইসলাম আমার ধর্ম, মুসলিম আমার পরিচয়” ……” খোদার প্রেমের শারাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই পড়ে”………..
অসাম্প্রদায়িকতাঃ- “ তাঁর সৃষ্টির উদার আকাশ সকলেরে থাকে ঘিরে,/ তাঁর বায়ু মসজিদে মন্দিরে সকলের ঘরে ফিরে।
তাঁর চন্দ্র সূর্যের আলো করে না ধর্ম ভেদ,/ সর্ব জাতির ঘরে আসে, কই আনে না তো বিচ্ছেদ।
……………………..……………………..……………………..……………………….
তাঁর মৃত্তিকা ফল ফুল সর্ব জাতির মাঠে,/ কে করে প্রচার বিদ্বেষ তবু তাঁর এ প্রেমের হাটে?………”
[অতএব, নিশ্চিত ভাবে জানলাম — ধার্মিকতা সাম্প্রদায়িকতা নয় কিছুতেই]
এই নিবন্ধের লেখক: পীরজাদা প্রকৌশলী সৈয়দ গোলাম মুরসালিন