[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে মন্দার আভাস। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিষয়ক সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিবেচনায়।
গতকাল শনিবার প্রকাশ করা এ প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্থনীতির চারটি দিক বিবেচনায় নিয়ে ৬৬টি দেশের র্যাংকিং করা হয়েছে। এগুলো হলো জনগণের ঋণ হিসেবে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) হার, বৈদেশিক ঋণ, তহবিল ব্যয় ও রিজার্ভের আকার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই ভারত, চীন কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে নিরাপদে রয়েছে। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানা তালিকার শীর্ষে রয়েছে আর সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা। তালিকায় বাংলাদেশের পরেই রয়েছে চীন। আর সৌদি আরবের অবস্থান অষ্টম।
ইকোনমিস্টের এ তালিকায় প্রতিবেশী ভারতের ঠাঁই হয়েছে ১৮তম অবস্থানে আর পাকিস্তানের অবস্থান ৪৩তম। ভারতের ঠিক আগের অবস্থানে রয়েছে ইউএই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতিকে এ বছর তাদের বিদেশি ঋণ পরিশোধ ও যেকোনো চলতি হিসাবের ঘাটতি মেটাতে চার ট্রিলিয়ন ডলার জোগাতে হবে। চীনকে বাদ দিলে এই হিসাব দাঁড়াবে ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়নে। আলোচ্য ৬৬টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আট ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। চীনকে বাদ দিলে তা দাঁড়ায় পাঁচ ট্রিলিয়ন।
ইকোনমিস্ট বলছে, বিদেশি ঋণ পরিশোধ এবং যেকোনো চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ করার মতো পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বাংলাদেশসহ তালিকার শুরুর দিকের ৩০টি দেশের।