[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যে কোনো ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা-সহ অন্যান্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত ও উপাসনার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় নিম্নোক্ত নির্দেশ প্রদান করেছে :
- করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
- উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম-সহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোনো মুসুল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
- একই সাথে উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
- এ সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
- অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
- সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
গতকাল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।