[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন আজ এক বিবৃতিতে গত ডিসেম্বরে ‘করোনা ভাইরাস’ কোভিড-১৯ অবির্ভাবের পর বিশ্বের ১৭৬ টি দেশে এর সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এটি এখন মহামারিতে রূপ নিয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুরুতে বাংলাদেশে পরিস্থিতি কিছু স্থিতিশীল থাকলেও এখন এটি বিস্তার লাভ করছে, ফলে ঝুকিতে পড়েছে জনপদ। বিবৃতে তারা বলেন, সরকার ‘কোভিড-১৯’ মোকাবেলায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ, সমাবেশ আয়োজন থেকে বিরত থাকা, নিজ উদ্যেগে বিচ্ছিন্ন থাকাসহ নানা স্বাস্থ্য সচেতন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকরাও এই ঝুকির বাইরে নন। কিন্তু জনগণের জীবনের প্রয়োজনে শ্রমিকরা খাদ্য, ঔষধ, পরিষেবা, পরিবহন যোগাযোগ, তৈরী পোষাক সহ সকল প্রয়োজনীয় পন্য উৎপাদনে যুক্ত, এজন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। স্বাস্থ্য খাতে কর্মীরা তাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাহসী লড়াই করছে, এজন্য তাদেরও অভিনন্দন। বিবৃতিতে তারা বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের রয়েছে ব্যাপক শ্রমঘন শিল্প ‘করোনা মুক্ত’ রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিত জীবানু ও ভাইরাস মুক্ত রাখার সকাল সরঞ্জাম শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্য সরবরাহ করা এবং শ্রমিকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা।
চাকুরী হারাবার ভয়ে আক্রান্ত কোন শ্রমিক চিহ্নিত হলে তাকে সবেতন চিকিৎসা প্রদান ও বিশ্রামে পাঠানো জরুরী। ঝুকি এড়াতে প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ রাখতে হলে শ্রমিকদের মজুরির-বেতন দিতে হবে। শ্রমিকদের কাজ ও মজুরীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে সামাজিক সুরক্ষার তাৎক্ষনিক উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবী জানাচ্ছি। আক্রান্ত বিশেষ অঞ্চল বা এলাকায় শ্রমজীবি মানুষের সুরক্ষায় তাদের যাতে হাট-বাজারে যেতে না হয় তার জন্য বিনা মূল্যে একমাসের চাল-ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও জীবানু নাশকারী সামগ্রী সররাহের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।