[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। মুরগির মাংস খাওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা থেকে শুরু করে বিদেশ ফেরত কোন সুস্থ মানুষকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিনই আপডেট দেয়া হচ্ছে এবং করণীয় বিষয়গুলো বলা হচ্ছে। সুতরাং এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো যাবে না এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার বাইরে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন ধরনের কথায় কান দেয়া যাবে না।
মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে নবনির্মিত নার্সিং অধিদপ্তরের নতুন ভবন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যখাত কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যখাত সবদিক দিয়ে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই দেশের সকল প্রবেশ পথে ২ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সন্দেহজনক প্রায় ৭২ জন বিদেশ ফেরত মানুষকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে একজনও করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। আর কোন কারণে কোন সংক্রমিত করোনা রোগী চলে এলেও তার চিকিৎসার সব ধরনের জোড়ালো প্রস্তুতি দেশের স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে।
নার্সিং পেশায় প্রতিবছর বহুসংখ্যক নার্স প্রবেশ করছে জানিয়ে ও নার্সিং অধিদপ্তরের গুরুত্ব উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি সব মিলিয়ে ৩৭৬ টি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এখান থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০ হাজার নার্স বের হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারের নীতিমালা পুরোপুরি মেনে চলতে এবং নার্সিং পেশাকে আরো আধুনিকায়ন করতে নার্সিং অধিদপ্তরের গুরুত্ব অনেক। নতুন ভবনের অবকাঠামোগত সব কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবনির্মিত ভবনটি পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার-সহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসুত্র : পিআইডি