করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান চাই : রাশেদ খান মেনন

রবিবার, মার্চ ২২, ২০২০,৩:২৪ অপরাহ্ণ
0
51

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

করোনা সংক্রামণের এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিজ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি। আজ বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর যৌথ উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার প্রস্তুতকরার কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। তিনি রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ মেহেরবা প্লাজায় অবস্থিত ওয়ার্কার্স পার্টির ‘পার্টি স্কুল’ কার্যালয়ে দুপুরে স্কাইপের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি দুপুর ১টার সময় ছাত্র, যুবদের হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার প্রস্তুতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মেনন আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ৩ মাস নষ্ট হয়েছে, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে দেশে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরীক্ষাগার ছাড়া সরকার আর কোথাও করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে পারে নি। এর ফলে ঢাকাতে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে ব্যস্ত হলেও লোক মারা গেছে সিলেটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছেন সেখানে এখনও আমরা কিট আনার কথা বলছি। চিকিৎসা স্বাস্থ্য কর্মীদের কোনো প্রতিরোধমূলক পোশাক না থাকায় তারা এমনই আতংকিত যে, সাধারণ রোগীরাও সেবা পাচ্ছে না। সেই পোশাক এখনও আনা হচ্ছে, এই আনা কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কেনো তাদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না তা বোধগোম্য নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেবল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারে জনগণ হতাশই নয়, বিরক্তও।

মেনন বলেন, দেশের অবস্থা লকডাউনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমাদের দেশে যারা দিন আনে দিন খায়, সেই শ্রমজীবী মানুষদের কি অবস্থা হবে। শিল্প শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের কি হবে। তিনি বলেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের খাদ্য ও ঔষধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্য কর্মীদের বেতনের আশি ভাগ সরকার বহন করবে বলে বলছে। সেখানে আমাদের দেশে শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করছি। এবং এই সক্ষমতাও আমাদের আছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে।
মেনন বলেন, সরকারের সকল অংশকে এই যুদ্ধে নিয়োজিত করতে হবে। কেবল তাই নয়, করোনা মহামারীর এই জনযুদ্ধ মোকাবেলায় আমাদের সকলে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে চীন ও কিউবার সাহায্যের জন্য আহ্বান জানান।

পরিদর্শন কালে কমরেড বাদশা বলেন, বাঙালী বীরের জাতি তাদেরকে কোন প্রকার আতঙ্কে আতঙ্কিত অতিতেও হয়নি ভবিষ্যৎ-এ হবে না, বর্তমান সময়ে করোনা (কোভিট-১৯) নামে যে ভাইরাস আমাদের দেশে ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তা মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো বেশি সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।
আজকের হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার প্রস্তুতকরার কর্মসূচিতে উপস্থিথ ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা দিপংকর সাহা দীপু, সাবেক যুবনেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, যুবনেতা সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, তৌহিদুর রহমান, মুতাসিম বিল্লাহ সানী, কায়সার আলম, তাপস দাস, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, মিজানুর রহমান, সুমন, ডালিম ছাত্রনেতা ফারুক আহমেদ রুবেল, কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল, অতুলন দাস আলো, তানভিন আহমেদ, ইয়াতুন্নেসা রুমা প্রমুখ।

এ কর্মসূচি সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে। নেতৃবৃন্দ সারাদেশে ছাত্র যুবদের সম্মিলিতভাবে কেন্দ্র অনুসৃত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় নিজ উদ্যোগে করোনা সংক্রান্ত প্রতিরোধে লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার বিতরণ করছে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে