[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
গতকাল রবিবার বিকেলে গুলশান-২-এ অবস্থিত শাহাবউদ্দিন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট, অন্য হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে দেওয়া রিপোর্ট, পুরনো সার্জিক্যাল সরঞ্জাম এবং অবৈধভাবে ব্যবহৃত ডিভাইস জব্দ করেন। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে আটক করা হয়।
অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অননুমোদিত ওষুধ রাখায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। করোনা পরীক্ষায় অনিয়ম করায় গতকাল রাতেই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ রোগী সরিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হবে। নিয়মিত মামলা করার কথাও বলা হয়েছে।
জানা যায়, হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাবেক বিএনপি নেতা মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি ছিলেন। পরে গত বছর ১৬ মার্চ অসুস্থতা এবং পারিবারিক কারণ দেখিয়ে দলের সব রকম পদ থেকে সরে যান।
এই অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল করেছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল। এই পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে তিন থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছিল। অন্য হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে রিপোর্ট দেওয়া, অবৈধভাবে সরঞ্জাম ব্যবহার এবং একই মাস্ক-গ্লাভস একাধিকবার ব্যবহারের আলামত পেয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।