[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের নিম্ন আদালতে দায়িত্বরত ১৩ বিচারক ও ২৬ জন কর্মচারী। এছাড়া আরো ৪ জন বিচারক করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) এই পরিসংখ্যান জানা গেছে, সকাল পর্যন্ত সারা দেশ থেকে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো তথ্যানুযায়ী।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আক্রান্ত বিচারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সার্বক্ষণিক তাঁদের খবর রাখছেন। আর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আক্রান্ত কর্মচারীদের চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট জেলা বিচারকদের বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
দেশের অধস্তন আদালতের সব বিচারক বা সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা সংক্রান্তের তথ্য জানতে চেয়ে ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সারা দেশে চিঠি দেওয়ার পর আজ সকাল পর্যন্ত এই তথ্য এসেছে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় বিচারক ও কর্মচারীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সর্বপ্রথম নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির করোনায় আক্রান্ত হন। একইদিন মুন্সীগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমানও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তাঁরা দুজনই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন।
এই মুহূর্তে ঢাকার সিএমএইচ-এর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাঁকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যেসব বিচারক নিজ বাসস্থানে চিকিৎসাধীন তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান এবং নোয়াখালী হাতিয়া চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন।