[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের টিকার অগ্রাধিকার প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। বিতরণ কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে দেশের ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা পাবে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর লিখিত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তালিকা প্রকাশ করেন।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তারমধ্যে রয়েছে- কভিড-১৯ স্বাস্থ্য সেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়া কভিড-১৯ স্বাস্থ্য সেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব অনুমোদিত ও বেসরকারির ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী। রয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা।
টিকা পাবেন ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬২০ জন সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ জন সদস্য।
রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫০ হাজার জন। তালিকায় রয়েছে সম্মুখসারির ৫০ হাজার গণমাধ্যম কর্মী।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মচারী ১ লাখ ৫০ হাজার জন, ধর্মীয় প্রতিনিধি ৫ লাখ ৪১ হাজার জন, মরদেহ সৎকারে নিয়োজিত ৭৫ হাজার ব্যক্তি, ৪ লাখ জরুরি পানি, গ্যাস, পয়:নিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, পরিবহন কর্মচারী; স্থল, নৌ ও বন্দর কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজার জন, প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক ১ লাখ ২০ হাজার জন, জেলা ও উপজেলাসমূহে জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মচারী ৪ লাখ জন, ব্যাংক কর্মকর্তা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১জন, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠী (যক্ষ্মা, এইডস রোগী, ক্যানসার) ৬ লাখ ২৫ হাজার জন, ৬৪ থেকে ৭৯ বছর বয়সী বয়স্ক জনগোষ্ঠী ১ কোটি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৮ জন, ৮০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ জন, ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি জাতীয় দলের খেলোয়াড় ২১ হাজার ৮৬৩ জন এবং বাফার, ইমারজেন্সি আউটব্রেক ১ লাখ ৭০ হাজার জন তালিকায় রয়েছেন।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সরকার শুরু থেকেই উদ্যোগ নেয়। সরকার ইতোমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কভিড-১৯ টিকা কোটি বা ততোধিক ডোজ ক্রয় করার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। এসব টিকা জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই দেশে আসবে বলে আশা করা যায়।
সংসদ নেতা বলেন, ৬৪ জেলা ও ৪৮৩টি উপজেলা ইপিআই স্টোরে এসব টিকা সংরক্ষণ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী কোটি বা ততোধিক ডোজ টিকা ৬টি ধাপে সরাসরি বাংলাদেশের ৬ জেলায় নির্ধারিত ইপিআই কোল্ডস্টোরসমূহে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উপহারের ২০ লাখ এবং ক্রয়কৃত ৫০ লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে সব টিকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজনে আরো টিকা ক্রয় করা হবে।