[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
‘কয়েকটি কারণে বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘প্রথমত বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী, জ্বালাও-পোড়াও এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তারা দু’জন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এসব কারণে নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই এবং তারা দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না।’
আজ ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের বিডি হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার বর্ধিত সভায় বক্তৃতার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। তারা ক্ষমতায় গিয়ে শুধু নিজের আখের গোছানোর রাজনীতি করে। বিএনপি’র এই কৌশল বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে, তাই বিএনপিকে জনগণ তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করেছে। এদেশের জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন আর জঙ্গিরাষ্ট্রও বানাতে চায় না। তাই আওয়ামী লীগ নয় জনগণই বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।’
এসময় বিএনপিনেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম-৭ আসনের এমপি ড. হাছান তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনি এলাকায় যাই, আমি গ্রামের এমপি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাংগঠনিকভাবে উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দিয়েছেন সে কারণে উত্তরবঙ্গ আসতে হয় এবং দেশের অন্যপ্রান্তেও যেতে হয়, সারা দেশ ভ্রমণ করতে হয়। ঢাকা থাকাকালে প্রায় প্রতিদিনই মন্ত্রণালয়ের কাজের পাশাপাশি পার্টি অফিসে যেতে হয়।’
‘রিজভী সাহেব তো নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ে বসে থাকেন, ওখান থেকে আর কোথাও যান না, ওখানেই খান, ওখানেই ঘুমান এবং সে কারণেই তিনি দেশের অবস্থা জানেন না যে শুধু প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনি এলাকাতেই নয়, সারা দেশ বিচরণ করি’ মন্তব্য করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, মির্জা ফখরুল সাহেব শুধুই মিডিয়ার সামনে কথা বলেন আর ওদিকে দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকতে থাকতে রিজভী সাহেবের আসলে মেজাজটা খিটখিটে হয়ে গেছে, ফলে উদ্ভ্রান্তের মতো নানা কথা বলছেন।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা আলমগীর সাহেব যে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করছেন সেটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। করোনা এবং সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে অনেকগুলো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, একইসাথে যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে সেজন্য টিসিবি’র আওতা বাড়িয়ে কোটি কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক সময় এমন পরিস্থিতির সুযোগ নেয়, সেজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সতর্কবাণী দেন তথ্যমন্ত্রী।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমারের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন প্রধান অতিথি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শরিফ প্রধান বক্তা এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা ডালিয়া ও অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি বিশেষ অতিথি হিসেবে বর্ধিত সভায় বক্তৃতা দেন।