[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি, মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ নিয়োগ দেয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্টিং স্টাফ। বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজার ৮১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টিসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার ও টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার ২০১৮ সালে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট’ গঠন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক যেন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে, এ জন্য সরকার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি গ্রুপ ও সাপোর্ট গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আরো উদ্যোগী হবেন এ প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সার্বিক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাদানকারীর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণকে এ কার্যক্রমের সাথে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
আমি কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সার্বিক সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”