[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) লিক্যুয়িড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) পরিবহণের লক্ষ্যে বড় আকারের ছয়টি এলএনজি ট্যাংকার/ক্যারিয়ার ক্রয় করতে যাচ্ছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২৫), রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং ব্লু-ইকোনমি (সুনীল অর্থনীতি) ধারণার আলোকে বিএসসি ছয়টি জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ছয়টি ট্যাংকারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় প্রতিটি ১ লাখ ৪০ হাজার ঘন মিটার করে দু’টি, প্রায় প্রতিটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ঘন মিটার করে দু’টি এবং প্রায় প্রতিটি ১ লাখ ৮০ হাজার ঘন মিটার করে দু’টি। ছয়টি ট্যাংকার ক্রয়ে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। ১ লাখ ৪০ হাজার ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩ হাজার ৫৪২ কোটি, ১ লাখ ৭৪ হাজার ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩ হাজার ৫৩০ কোটি এবং ১ লাখ ৮০ হাজার ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিএসসি কর্তৃক এলএনজি জাহাজ ক্রয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির, জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ আকতার হোসেন, পেট্রোবাংলার পরিচালক আলী মোঃ আল মামুন, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাবেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মহেষখালী দ্বীপের নিকট দেশের দু’টি এলএনজি টার্মিনাল এবং এক বা একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রেক্ষিতে এলএনজি ট্যাংকার ক্রয়ের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বিএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে ‘বাংলার দূত’ ও ১৯৭৩ সালে ‘বাংলার সম্পদ’ অর্জনের মাধ্যমে বিএসসি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল। বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রয় ও হস্তান্তরের পর দু’টি জাহাজ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ছয়টি নতুন জাহাজ সংগ্রহের ফলে বর্তমানে বিএসসি’র বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে।