[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) এর সভায় ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) এর বাস্তবায়ন’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি’র চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার হতে রেবিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে, ২০১৫ সালে নিম্ন আয়ের দেশ হতে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের শ্রেণিভুক্ত হয়েছে এবং ৭ শতাংশ হারে গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনও সম্ভবপর হয়েছে। সাফল্যের এই ধারায় উজ্জ্বীবিত হয়ে বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত সেই দেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত যেখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচার থাকবে। মূলত রূপকল্প ২০২১ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নয়ন পথে জাতিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ও উচ্চ-আয়ের দেশগুলো যে উন্নয়ন পথ পাড়ি দিয়েছে, তাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে সে পথে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ।
২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে আধুনিক বিশ্বের সাথে সংগতিপূর্ণ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যার মাথাপিছু আয় দাড়াবে বর্তমান বাজার মূল্যে ১২ হাজার ৫০০ ডলার, জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে দশমিক ৭ শতাংশে এবং দারিদ্র্য হার হবে ৫ শতাংশের নিচে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।