[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অনুরোধ জানিয়েছেন, করোনারভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আসন্ন ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার। আজ বুধবার সকালে এই আহ্বান জানান সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দেশের গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রিয়জনের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলমান থাকায় বর্তমানে তা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এইবারের লকডাউনেও ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের লোকজন গ্রামের বাড়ি যাবে। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শুরুতেই এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিপূর্বে সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে গণপরিবহন বন্ধ না করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার ফলে লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়ার দৃষ্টান্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আবার গণপরিবহন বন্ধ রেখে দুই দফা গার্মেন্টস, কল-কারখানা সীমিত আকারে চালু করতে গিয়ে শত শত কিলোমিটার পাঁয়ে হেঁটে গন্তব্যে শ্রমিকদের কর্মস্থলে যাতায়াতের দৃশ্যও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বহুদেশে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমাদের দেশেও জরুরি ভিত্তিতে ঈদে বাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের স্ব-স্ব এলাকায় নগরফেরত কোনো লোকজন যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
একই সাথে ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে ঈদে লোকজনের যাতায়াত বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।