[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সর্বোচ্চ সচেতনতা প্রদর্শন না করলে ঈদযাত্রা অন্তিমযাত্রায় রূপ নিতে পারে বলে যাত্রীদের সতর্ক করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি টার্মিনালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ, মালিক-শ্রমিক, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কার্যকর থাকবে। এর পাশাপাশি যে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট।
মন্ত্রী গতকাল সকালে আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বিআরটিএ’র সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ঈদ প্রস্তুতি সভায় নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসসমূহ অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করবে। ঢাকা মহানগরীর বহির্গমন পয়েন্টসমূহ যানজটমুক্ত রাখতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগরীর প্রধান প্রধান টার্মিনালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে।
ভ্রমণের আগে ও পরে পরিবহনসমূহ জীবানুমুক্ত করার পাশাপাশি বাসে উঠার ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাত্রী, গাড়ি চালক, চালকের সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করার পাশাপাশি পরিবহনসমূহ জ্বালানী সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পথিমধ্যে কোনো যাত্রা বিরতি করতে পারবে না বলে সভায় জানানো হয়।
এসময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, দেশে মহাসড়কসমূহ যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন ভাল অবস্থায় রয়েছে। অতিবৃষ্টিজনিত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে ভ্রাম্যমান সড়ক মেরামত টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে এবং যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোহনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস প্রস্তুত রাখার জন্য বিআরটিসি’কে মন্ত্রী নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ঈদের তিনদিন আগে থেকে মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সার্ভিস, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, পচনশীল দ্রব্য, কোরবানীর পশু, জ্বালানী, ঔষধ, ত্রাণ, সংবাদপত্র ও রপ্তানীপণ্যবাহী যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
সভায় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, বিআরটিসি’র চেয়াম্যান মো. এহছানে এলাহী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।