[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলারেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। সারা বিশ্বে ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সাথে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। এখান থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে এবং কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে। করোনাকালে ই-কমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সকল ই- কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ না পায়, সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মতামত প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ই-কমার্সে অনেক মানুষ প্রতারিত হবার অভিযোগ আছে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি আইন তৈরি করা প্রয়োজন। দেশের কোনো মানুষ যাতে ডিজিটাল বাণিজ্যে প্রতারিত না হন, সে জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। একজন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা দরকার।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হবার সাথে সাথে ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য আইন করা দরকার। এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা যেতে পারে। গুটিকয়েক প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে প্রতারণার সুযোগ কমে আসবে। রেগুলেটরি অথরিটিকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে এবং মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। আইনের আওতায় এনে ই-কমার্সকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। যাতে করে কেউ প্রতারণা করতে না পারে। মানুষ কম দামে পণ্য পেতে চাইবে, এটাই বাস্তবতা। ই-ব্যবসার জন্য জামানত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ব্যবসা যত বড় হবে জামানত ততো বেশি হবে। মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। মানুষ যাতে টাকা ফেরত পায় সেজন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোঃ মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোঃ মেজবাউল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।