ইস্তাম্বুলে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ উদযাপন

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২১, ২০২২,১২:১৫ অপরাহ্ণ
0
34

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারা এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল যৌথভাবে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে গত ১৯ এপ্রিল কনস্যুলেটের ফ্রেন্ডশিপ হলে ‘মর্মর সাগরের তীরে মঙ্গলবারতা: বাংলা নববর্ষ’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সভাপতিত্বে এবং লেখক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতির সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লেখক ও সাংবাদিক আহমেত জোশকুনায়দিন, গবেষক ও অনুবাদক ড. মুসা তোপকায়া, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিবিসি (লন্ডন) এর বাচিকশিল্পী ঊর্মি মাজহারসহ তুর্কি অতিথিবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। সূচনা বক্তব্যে নূরে-আলম স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার পহেলা বৈশাখকে সর্বপ্রথম জাতীয় পার্বণ হিসেবে ঘোষণা করেন।

বাংলা নববর্ষকে বৃহৎ সর্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে কনসালে জেনারেল বলেন, বর্ষবরণ আমাদেরকে সহিষ্ণু, শান্তিপ্রিয় ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে শাণিত করার মাধ্যমে নববর্ষ উদ্‌যাপন এক অদম্য সাংস্কৃতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল, যা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সকল রাজনৈতিক আন্দোলনকে বেগবান ও সুদৃঢ় করেছিল। নূরে-আলম বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতির পাবার ফলে আমাদের সংস্কৃতি বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হয়েছে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে আরো সম্মানিত, গৌরবান্বিত ও মর্যাদাবান করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান বলেন, একে অপরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভাষা ও সাহিত্য, এবং কৃষ্টি ও সংস্কৃতি জানার মধ্যে দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া আরো বেশি সুদৃঢ় ও মজবুত হয়। বাংলাদেশে তুর্কি সাহিত্যকর্ম অনূদিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশের ভাষা, ইতিহাস, সাহিত্য ও সৃষ্টিশীল কর্ম তুর্কি ভাষায় অনুবাদ করতে অনুরোধ করেন। এর মাধ্যমে তুরস্কের জনগণ বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবে, যা দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বেগবান করবে।

অনুষ্ঠান শেষে আলোচকবৃন্দদের মুজিববর্ষের লোগো-খচিত উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে