[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
হামিদুল ইসলাম হামিদ নামের এক বাংলাদেশি ইরাকে মানবপাচারকারীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার শিকার হামিদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরে। উপজেলার কালিয়া বন্দের চরপাড়া গ্রামের মৃত হাশেমের ছেলে।
হামিদের মা হালিমার অভিযোগ, মুক্তিপণের এক লাখ টাকা প্রদানের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন মানবপাচারকারী চক্র সদস্যরা। টাকা না দেওয়া হলে হামিদকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা আলামিন নয়ন।
হামিদের পরিবার সূত্রের বরাত দিয়ে আলামিন নয়ন জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হামিদকে গত ১৮ জুন ভালো কাজের কথা বলে নিয়ে ইরাকের বাগদাদ শহরে নিয়ে যান ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার দুই মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য রহমত এবং ওমর। সেখানে তাকে জিম্মি করে চক্রটি। রহমত ফোনে হামিদের মাকে বলেন, হামিদকে জীবিত ফেরত নিতে হলে এক লাখ টাকা তাদেরকে প্রদান করতে হবে। টাকা না দিলে হামিদকে হত্যা করা হবে বলেও জানানো হয়।
আলামিন নয়ন আরো জানিয়েছেন, হামিদ ফোনে এসব ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তাঁর মাকে। তিনি জানিয়েছেন দালালদের টাকা না দিলে তাঁকে হত্যা করা হবে। টাকার জন্য প্রতিদিন তাঁকে নির্যাতন করছে মানবপাচারকারীরা। কীভাবে টাকা পাঠাতে হবে- হামিদের মা জানতে চাইলে আজ রবিবার (২১ জুন) পাচারকারীরা তাঁর মাকে অ্যাকাউন্ট নম্বর দেবেন বলে জানান ওই ব্র্যাক কর্মকর্তা।
হামিদের মা হালিমা বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে ইরাকে যান তাঁর ছেলে হামিদ। সেখানে ভালোই ছিলেন তিনি। কিন্তু করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে কাজ না থাকায় দুশ্চিন্তা ছিল হামিদের।


























