[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আগের অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরো সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষ শাখাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দুদক ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। এর আগে গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায়। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করে এই অর্থ বিদেশে পাচার হতে পারে বলে। এর আগে গত নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান দুদকে তদন্তাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিঠি পাঠালে দুদক তদন্ত কমিটি গঠন করে।