[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ইবি প্রতিনিধি: শীত মানেই সকালে মিষ্টি খেজুরের রস। শীত মানেই বাহারি পিঠার মধুর গন্ধ। সবুজ ঘাসের গায়ে লেপ্টে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।
শীত অনেকের কাছে আনন্দের আবার অনেকের কাছে কষ্টেরও বটে। তবে বেশিরভাগ মানুষ শীতের মৌসুমকেই পছন্দ করে থাকেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও (ইবি) এর থেকে বাইরে নয়। কাঁপন ধরানো হিমেল হাওয়ায় ক্যাম্পাসের সবার গায়েই এখন শীতের গরম কাপড়। অনেকে কুয়াশার মধ্যে শরীরে একটু উত্তাপ আনতে হাটাহাটি করে সকাল বেলায়। রোদ উঠার সাথে সাথেই দেখা যায় বিভিন্ন চত্ত্বরে বন্ধুদের রোদ পোহানো ও আড্ডা। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই রোদে দাঁড়িয়ে থাকছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে সন্ধ্যা হলেই বাহারি পিঠার গন্ধে মৌ মৌ করে জিয়া হল মোড় চত্ত্বর। হাটলে মনে হবে ছোট খাটো পিঠার উৎসব চলছে সেখানে। জিয়া হল মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে পিঠার দোকানগুলো। বিকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত এসব দোকানে মিলে শীতের বাহারি রকমের পিঠা।
আর শীতের এই পিঠার স্বাদ নিতে সারাক্ষণ দোকানগুলোতে যেন ভিড় লেগেই থাকে। কেউ বা দাঁড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। মনে প্রবল ইচ্ছা একটু পিঠার স্বাদ নেওয়া।
এখানে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে প্রায় অনেক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা খাওয়া নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি শুরু হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কে কয়টি পিঠা খেতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে।
ক্যাম্পাসের ছোট্ট এই পিঠার দোকানগুলোতে বন্ধুরা মিলে যখন একসঙ্গে পিঠা খাওয়া হয়, তখন ক্ষণিকের জন্য মনে পড়ে যায় চুলার ধারে বসে মায়ের হাতের গরম গরম পিঠা খাওয়ার কথা। তাই হয়তো পরিবার-পরিজন থেকে শত শত মাইল দূরের ক্যাম্পাসই যেন হয়ে উঠেছে আরেকটা পরিবার।
শুধু তাই নয়, বাহারি রঙের আর ডিজাইনের গরম কাপড়ের ফ্যাশন চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সন্ধ্যায় জিয়া মোড়ে দেখা মেলে ছোট ছোট কাপড়ের দোকান। যেখানে পাওয়া যায় বাহারি ডিজাইনের শীতের টি-শার্ট, চাদর, কম্বল ও সোয়েটার। দোকানগুলো মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই পরিচালনা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন শীতের উৎসব আমেজে ভরপুর হয়ে উঠেছে। শীত উপলক্ষে চলছে ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ নানা প্রতিযোগিতা। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সারারাত ধরে খেলতে দেখা যায়।
শীতের আগমন উপলক্ষে ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আজাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ’শীত যদিও সবার জন্য একটু কষ্টকর। তবুও ক্যাম্পাসে শীতের আমেজ ভালোই লাগছে। মায়ের হাতের পিঠা খেতে না পারলেও এখানে পাচ্ছি বাহারি রকমের পিঠা। যা মায়ের হাতের পিঠার অনেকাংশে স্বাদ মিটাচ্ছে।’