[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নতুন আরো তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শর্ত শিথিল করে চলতি অর্থ বছরেই। গতকাল বৃহস্পতিবার এই দাবি জানানো হয় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে।
সদ্য এমপিওভুক্ত এক হাজার ৬৩৩টি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে অনলাইনে এমপিও আবেদন করার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে নতুন এমপিওভুক্তির জন্য যে বরাদ্দ ছিল, এর সব এখনও ব্যয় হয়নি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি এক হাজার ৬৩৩ স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্তির পর আরো টাকা অব্যয়িত রয়ে গেছে। এই টাকা খরচ না করলে তা ফেরত যাবে। এজন্য চলতি অর্থবছরেই শর্ত শিথিল করে হলেও নতুন এমপিওভুক্তি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে প্রায় দশ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। গত বছর যাচাই বাছাই শেষে প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও এর মধ্যেও কিছু বাদ পড়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন এমপিওভুক্তি হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মচারি স্বল্প সময়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি। তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। যারা আবেদন করতে পারেননি তাদের দ্রুতই আবার সুযোগ দিতে হবে।
বর্তমানে, করোনার প্রভাবে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম আর্থিক কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শর্ত শিথিল করে হলেও চলতি বাজেটেই অবিলম্বে আরো তিন হাজার নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হোক। একইসঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থ বছর থেকেই সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্যও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।