[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘তথ্য আমার অধিকার, জানা আছে কি সবার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য প্রাপ্তি ও জানা প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহ যেমন নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক, তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়নকেও সুদৃঢ় করে। জনগণের এ অধিকারকে প্রাধান্য দিয়েই সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন এবং আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করে।
স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এ আইন আবশ্যিকভাবে তথ্য প্রাপ্তিতে জনগণকে দিয়েছে আইনি ভিত্তি। তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তথ্য কমিশনের পাশাপাশি দেশের সরকারি-রেসরকারি সংস্থা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, নাগরিক সমাজ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে তথ্য অধিকার আইন পরিপূর্ণতা পেতে পারে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। এই ক্রান্তিকালে তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের সুশাসন নিশ্চিত হবে। এছাড়া জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্কও সমুন্নত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এই শুভক্ষণে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি সকলকে ধৈর্য, সাহস ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”