[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ২৬ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২১’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৬ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২১’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিস্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রাসারণ, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ কাস্টমসের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে নিম্নমুখী সেখানে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন সুসংহতকরণ, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কার্যকর সমঝোতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কাস্টমস। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Customs bolstering Recovery, Renewal and Resilience for a sustainable supply chain’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ কে সামনে রেখে সরকার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দেশে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণ খুবই জরুরি। বাংলাদেশ কাস্টমস এ লক্ষ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত শুল্কায়ন ও খালাসের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বস্ত করদাতাদের দ্রুত সেবা প্রদান, আমদানি-রপ্তানি সরলীকরণ, কন্টেইনার/কার্গো স্ক্যানিং, বাণিজ্য ও ট্যারিফ উদারীকরণসহ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ), ডাটা এনালাইসিস এবং আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চোরাচালান এবং জাল জালিয়াতি প্রতিরোধসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ কাস্টমস নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে সক্ষম হবে।
আমি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”