[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রায় আড়াই মাস পর আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অফিস করছেন। মন্ত্রণালয়ে আসার পর সচিবসহ কর্মকর্তারা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর তিনি কিছু ফাইলে সই করেন। পরে তিনি সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো মরেই যেতাম। বেঁচে আছি। প্রথম ইনিংস শেষ করেছি। ইনশা আল্লাহ এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করব। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা উড়াল সড়ক, ঢাকার যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ‘ স্বস্তিদায়ক হবে এবার ঈদ যাত্রীদের জন্য । আগামী ২৫ মে গাজীপুর কোনাবাড়ী ও চন্দ্রায় দুটি উড়ালসড়ক ও চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতি সেতু উদ্বোধন হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তা উদ্বোধন করবেন। আশা করা যায়, এবারের ঈদে আর যানজট হবে না।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কাউন্সিল যথাসময়ে হবে। দলের একটি টিম সেভাবেই কাজ করছে।’ আগামীকাল তিনি দলীয় কার্যালয়ে যাবেন এবং সেতু ভবনে অফিস করবেন বলে জানালেন।
অসুস্থতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন সুস্থ আছি। তবে শারীরিক দুর্বলতাও আছে। এক দেড় মাস আগের মতো ছোটাছুটি করা যাবে না। দুই মাস পরপর আবার চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করাতে সিঙ্গাপুর যেতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন। তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের স্বনামধন্য হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন ওবায়দুল কাদেরকে ঢাকা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি গত বৃহস্পতিবার ।