[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী তফসিল নির্ধারণের জন্য সভা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইসির সভার পর আজই (রবিবার) তফসিল ঘোষণা হতে পারে। জানুয়ারির শেষ দিকে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম প্রচারণা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনে নতুন কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। ওই দিন সভা শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, নভেম্বরের ১৮ তারিখের পর যে কোনো দিন ঢাকার দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ভোট হবে জানুয়ারিতে। এরপর আগামীকাল এ বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের দ্বিতীয় সভাটি হতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, এবার এ দুই সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাওয়ার কারণে নির্বাচনের পরপরই নব নির্বাচিতরা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। তাঁদেরকে আগের মেয়র, কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তাঁদের শপথ গ্রহণও বিলম্বিত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৭ মে। সিটি করপোরেশন আইন অনুসারে নির্বাচিতদের মেয়াদ হচ্ছে করপোরেশনের প্রথম সভার পর থেকে পাঁচ বছর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে মেয়াদপূর্তির অনেক আগে নির্বাচন হওয়ার কারণে নির্বাচিতদের প্রায় ৪ মাস অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের আগের নির্বাচনগুলোতে তফসিল ঘোষণার আগেই আগাম প্রচারণা বন্ধে ইসি বিশেষ উদ্যোগ নিলেও এবার সে ধরণের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার জানান, এবার এখনও এ নির্বাচন নিয়ে জোরদার প্রচারণা শুরু হয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনাও হয়নি। রবিবারেই এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ধারা ৫ এ বলা হয়েছে, কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। অন্য এক ধারায় বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে মোবাইল কোর্ট কোনো ব্যক্তিকে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবে। আর কোনো রাজনৈতিক দল বা সংস্থা আচরণ বিধি লংঘন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটিতে জাতীয় সংসদের ১৫টি আসন এলাকা রয়েছে। এই বিশাল জনবহুল এলাকায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এতে ভোটকক্ষ বা বুথ থাকছে সাড়ে ১৩ হাজারের কাছাকাছি। ভোটার প্রায় ৫০ লাখ। এ দুই সিটিতে একই সাথে ভোট গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইভিএম প্রয়োজন হবে প্রায় ১৫ হাজার। দেশে এর আগে এতো বড় পরিসরে ইভিএম-এর ব্যবহার হয়নি। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।